ঢাকা , মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরডিএর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৭তলা বিল্ডিং নির্মান সম্পন্নের অভিযোগ: ৫ বছর অতিবাহিত হলেও নিরব কর্তৃপক্ষ


আপডেট সময় : ২০২৫-০৫-১৯ ২২:২৮:৪৯
আরডিএর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৭তলা বিল্ডিং নির্মান সম্পন্নের অভিযোগ: ৫ বছর অতিবাহিত হলেও নিরব কর্তৃপক্ষ আরডিএর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৭তলা বিল্ডিং নির্মান সম্পন্নের অভিযোগ: ৫ বছর অতিবাহিত হলেও নিরব কর্তৃপক্ষ



মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে আরডিএর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৭ তলা বিল্ডিং নির্মান সম্পন্ন হয়েছে ২০২০ সালে। কিন্তু ৫ বছর অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত এই অবৈধ ইমারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি আরডিএ কর্তৃপক্ষ।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহানগরীর রাজপাড়া থানার হড়গ্রাম কাঁচা বাজার প্রবেশ মুখের পশ্চিম কর্ণারে একটি ৭তলা ভবন রয়েছে। ভবনটি নির্মানে আরডিএর সার্বিক নিয়ম নিতি লঙ্খন করা হয়েছে। ফলে যানবাহন, সাধারণ পথচারী সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এ নিয়ে (সর্দার বাড়ি) নামক বিল্ডিং মালিক কায়েম উদ্দিনকে বার বার অবগত করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেন না। তিনি সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের দাপট দেখাতেন বলে অভিযোগ একাধিক স্থানীয়দের।


অবৈধ বিল্ডিং নির্মান বন্ধে স্থানীয় ব্যক্তি একই এলাকার সাইদুর রহমান পিন্টু রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর বিল্ডিং মালিকের নিকট ইমারত নির্মান আইন ১৯৫২ এর ৩(খ) ধারা মোতাবেক কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেন।


নোটিশে উল্লেখ করা হয়। বিল্ডিং মালিক: কায়েম উদ্দিন, পিতা: মৃত মহসিন আলী সর্দার, সং- জুরাপুর, থানা: তানোর, রাজশাহী। বর্তমান রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান (খুলু পাড়া), থানা: রাজপাড়া, রাজশাহী। তিনি মহিষ বাথান কোর্টে উত্তরের মহল্লার মহিষ বাথান মৌজা আরএস ৩১০ দাগে বেইজমেন্টের ৩য় তলার ছাদ সাটারিং পর্যন্ত ইমারত নির্মান কাজ করছেন।


তিনি সে নির্মান কাজের অনুমোদিত নকশা বলঙ্ঘন করেছেন এবং উল্লেখিত ইমারতে নির্মান বিচুত্তি প্রতিয়মান হয়েছে। ইমারতের ভিত্তিসহ প্রত্যেক তলার নির্মান পরিদর্শ করায়ে প্রমানপত্র গ্রহণ করাননি। অনুমোদনের নম্বর তারিখ তলা উল্লেখ করে নির্মান তথা বোর্ড স্থাপন করেন নি।


ফলে অনুমোদন শর্তে ২নং লঙ্ঘিত হয়েছে। ইমারতের সামনে ১.৫০মিটার ও ১.৭৪ মিটার উম্মুক্ত রাখার বিধান থাকলেও ১.৫০ মিটার উম্মুক্ত রেখে ১.২২ মিটার ছাদ বর্ধিত করা হয়েছে। ইমরতের পশ্চাতে ১.০০ মিটার উম্মুক্ত রাখার বিধান থাকলেও ০.৬০ মিটার উম্মুক্ত রেখে তদুপরে ০.৫০মিটার ছাদ বর্ধিত করা হয়েছে। পূর্বপাশে ১.০০ মিটার উম্মুক্ত রাখার বিধান থাকলেও ০.৪৫মিটার উম্মুক্ত রেখে ০.৪৫ মিটার ছাদ বর্ধিত করা হয়েছে। পশ্চিম পাশে ১.০০ মিটার উম্মুক্ত রাখার বিধান থাকলেও ০.৫৫ মিটার উম্মুক্ত রেখে ০.৬০ মিটার ছাদ বর্ধিত করা হয়েছে। ফলে অনুমোদনের ১৩নং শর্ত লঙাঘন করা হয়েছে। 


এ ব্যপারে আরডিএ কর্তৃক অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধ রেখে কেন তা ভেঙ্গে ফেলা/অপসারন করা যাবে না তার সন্তোশজনক জবাব ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ গত ২০/০২/২০০২ তারিখ সকাল সাড়ে ১০টায় (যেমন ইমারত নির্মান কাজের অনমোদিত নকশা, জমির দলিল, খতিয়ান, খাজনার রশিদ, যাতীয় পরিচয় পত্র বাড়ির হোল্ডিং নং ইত্যাদি-সহ, আগামী ৭দিনের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।


নির্ধারিত সময়ে গ্রহণ যোগ্য উপযুক্ত জবাব প্রদান না করলে আর কোন বক্তব্য না শুনেই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গৃহিত হবেবলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। ইমারত নির্মান আইন ১০৫২ (ও পরবর্তি সংশোধীত আইন ১২/১৯৮৭ ও ১৫/২০২৬ এর ৩ (খ) ধারা মোতাবেক ওই নির্দেশ প্রদান হয়। একই আইনে ৩ (খ) (২) ধারা মতে নোটিশ প্রাপ্তির পর থেকে অনুরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্মান করা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন আরডিএ ইমারত নির্মান কমিটির (আবুল কালাম আজাদ) সদস্য সচিব ইমারত নির্মান কমিটি, গত ০৬/০২/২০২০ রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত এ আদেশ প্রদান করেন।


যাহার স্বরক নং-০৪০.০০৫.০০২.৫৫৩.২০১৯.অভি-৩৩.২০২০.২৩২। বস্তবতা হলো ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিল্ডিং মালিক কায়েম উদ্দিন গত ৫ বছর পূর্বে তার ৭তলা ভবন নির্মান সম্পন্ন করেছে। তাছাড়া অজ্ঞাত কারণে আরডিএ কর্তৃপক্ষ এই অবৈধ বিল্ডিং মালিকের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন প্রকার পদক্ষেপও গ্রহণ করেন নি। এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ব্যপারে জানতে সরেজমিনে বিল্ডিং-এর মালিক কায়েম উদ্দিনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা ওেচষ্টা করা হলেও তার স্বাক্ষাত পাওয়া যায়নি।


এ ব্যপারে জানতে আরডিএ অথরাইজড অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ্ধসঢ় আল তারিক এরর মুঠো ফোনে একাধীক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। 





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ